নিশি রাতে দাঁতাল হাজির লোকালয়ে , নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত বাসিন্দারা

21st March 2021 6:51 pm বাঁকুড়া
নিশি রাতে দাঁতাল হাজির লোকালয়ে , নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত বাসিন্দারা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  স্টেশন চত্ত্বরে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে দাঁতাল! রাতের অন্ধকারে থানার আশেপাশেও গজরাজের পদধ্বনি! এমনই এক সোনামুখী শহরের নিশি-চিত্র। দিন গড়িয়ে একটু একটু করে সন্ধ্যে নামলেই নিসাড় হয় সোনামুখী স্টেশন চত্ত্বর। আর জনশূন্য এই এই রেল স্টেশনে শুরু হয় বিশালাকার বুনো হাতির উপদ্রব। কি, শুনে বিশ্বাস হচ্ছে না, তাইতো? নিজের চোখে দেখুন সেই ভিডিও! কিভাবে বিশালাকার দুটি দাঁতাল নিশিরাতে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে সোনামুখী স্টেশন চত্ত্বরে। শুধুমাত্র স্টেশনে দাঁপিয়েই ক্ষান্ত হয়নি এই হাতি। স্টেশনের পর্ব সেরে সেটি আবার উপস্থিত হয় সোনামুখী থানার কাছে। সেখান থেকে আবার সোনামুখীর হরনাথ মন্দিরে। সেখানে একটি দেওয়াল  ভেঙে গুঁড়িয়ে চালাতে থাকে তান্ডবলীলা। ভোররাতে গজরাজের এহেন উপদ্রব সাধারণ মানুষের চোখে পড়ে। তারপর খবর যায় রেঞ্জ অফিসে। এলাকায় ছুটে আসেন বনকর্মীরা। তারপর সকাল নাগাদ জঙ্গলে বিদায় হন এই হাতিজোড়া। বন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এলাকার পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ টি হাতির একটি দল এই মুহূর্তে রয়েছে। তারা যেকোনো সময় ঢুকে পড়তে পারে এলাকায়। তাহলে সোনামুখীবাসীর সুরক্ষা? প্রশ্ন ও আতঙ্কে রাত পার হচ্ছে সাধারণ মানুষের।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।